Tuesday, May 3rd, 2022

Astro Research Centre

অক্ষয় তৃতীয়া কি এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ

অক্ষয় তৃতীয়া কি এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ

আসুন জেনে নেই অক্ষয় তৃতীয়া কি এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ (কিংবদন্তি ) --সংগৃহীত

অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে।
যদি ভালো কাজ করা হয় তার জন্যে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য আর যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে লাভ হয় অক্ষয় পাপ। তাই এদিন খুব সাবধানে প্রতিটি কাজ করা উচিত। খেয়াল রাখতে হয় ভুলেও যেন কোনো খারাপ কাজ না হয়ে যায়। কখনো যেন কটু কথা না বেরোয় মুখ থেকে। কোনো কারণে যেন কারো ক্ষতি না করে ফেলি বা কারো মনে আঘাত দিয়ে না ফেলি। তাই এদিন যথাসম্ভব মৌন থাকা জরুরী। আর এদিন পূজা,জপ,ধ্যান,দান,অপরের মনে আনন্দ দেয়ার মত কাজ করা উচিত। যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সতর্কভাবে। এদিনটা ভালোভাবে কাটানোর অর্থ সাধনজগতের অনেকটা পথ একদিনে চলে ফেলা। এবারের অক্ষয়তৃতীয়া সবার ভালো কাটুক – এই কামনায় করি।
এদিন যেসকল তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল।
১) এদিনই বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম জন্ম নেন পৃথিবীতে।
২) এদিনই রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
৩) এদিনই গণপতি গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী শুনে মহাভারত রচনা শুরু করেন।
৪) এদিনই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে।
৫) এদিনই সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়।
৬) এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
৭) এদিনই ভক্তরাজ সুদামা শ্রী কৃষ্ণের সাথে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চালভাজা নিয়ে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সকল দুখ্হ মোচন করেন।
৮) এদিনই দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে যান এবং সখী কৃষ্ণাকে রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ। শরনাগতের পরিত্রাতা রূপে এদিন শ্রী কৃষ্ণা দ্রৌপদীকে রক্ষা করেন।
৯) এদিন থেকেই পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণ শুরু হয়।
১০) কেদার বদরী গঙ্গোত্রী যমুনত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল।
১১) এদিনই সত্যযুগের শেষ হয়ে প্রতি কল্পে ত্রেতা যুগ শুরু হয়।

অক্ষয় তৃতীয়া সম্পর্কে একটি পুরানিক গল্প নিচে দেয়া হল :-

ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির একবার মহামুনি শতানিককে অক্ষয় তৃতীয়া তিথির মাহাত্ম্য কীর্তন করতে বললেন ।
শতানিক বললেন পুরাকালে খুব ক্রোধসর্বস্ব , নিষ্ঠুর এক ব্রাহ্মণ ছিলেন । ধর্মকর্মে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিলনা । একদিন এক দরিদ্র ক্ষুধার্ত ব্রাহ্মণ তার নিকট অন্ন এবং জল ভিক্ষা চাইলেন । রণচন্ডী হয়ে ব্রাহ্মণ কর্কশ স্বরে তাঁর দুয়ার থেকে ভিখারীকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেন আর বললেন যে অন্যত্র ভিক্ষার চেষ্টা করতে ।
ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর ভিখারী চলে যেতে উদ্যত হল ।
ব্রাহ্মণ পত্নী সুশীলা অতিথির অবমাননা দেখতে না পেরে দ্রুত স্বামীর নিকট উপস্থিত হয়ে ভরদুপুরে অতিথি সত্কার না হলে সংসারের অমঙ্গল হবে এবং গৃহের ধন সমৃদ্ধি লোপ পাবে … একথা জানালেন ।
স্বামীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ভিখারীকে তিনি ডাক দিলেন এবং ভিখারীর অন্যত্র যাবার প্রয়োজন নেই সে কথা জানালেন । সুশীলা ত্রস্তপদে তার জন্য অন্নজল আনবার ব্যবস্থা করলেন । কিছুপরেই তিনি অতিথি ভিক্ষুকের সামনে সুশীতল জল এবং অন্ন-ব্যঞ্জন নিয়ে হাজির হলেন । ভিখারী বামুন অতীব সন্তুষ্ট হলেন এবং সে যাত্রায় সুশীলাকে আশীর্বাদ করে সেই অন্নজল দানকে অক্ষয় দান বলে অভিহিত করে চলে গেলেন ।
বহুবছর পর সেই উগ্রচন্ড ব্রাহ্মণের অন্তিমকাল উপস্থিত হল । যমদূতেরা এসে তার শিয়রে হাজির । ব্রাহ্মণের দেহপিঞ্জর ছেড়ে তার প্রাণবায়ু বের হ’ল বলে । তার শেষের সেই ভয়ঙ্কর সময় উপস্থিত । ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় তার কন্ঠ ও তালু শুকিয়ে গেল । তার ওপর যমদূতেদের কঠোর অত্যাচার । ব্রাহ্মণ তাদের কাছে দুফোঁটা জল চাইল এবং তাকে সে যাত্রায় উদ্ধার করতে বলল ।
যমদূতেরা তখন একহাত নিল ব্রাহ্মণের ওপর ।
তারা বলল ” মনে নেই ? তুমি তোমার গৃহ থেকে অতিথি ভিখারীকে নির্জ্জলা বিদেয় করেছিলে ?”
বলতে বলতে তারা ব্রাহ্মণকে টানতে টানতে ধর্মরাজের কাছে নিয়ে গেল ।

ধর্মরাজ ব্রাহ্মণের দিকে তাকিয়ে বললেন ” এঁকে কেন আমার কাছে এনেছ্? ইনি মহা পুণ্যবান ব্যক্তি ।বৈশাখমাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে এনার পত্নী তৃষ্ণার্ত অতিথিকে অন্নজল দান করেছেন । এই দানঅক্ষয় দান ।
সেই পুণ্যে ইনি পুণ্যাত্মা । আর সেই পুণ্যফলে এনার নরক গমন হবেনা । ব্রাহ্মণকে তোমরা জল দাও । এনার প্রাণবায়ু নির্গত হতে দাও । শীঘ্রই ইনি স্বর্গে গমন করবেন ”

সংগৃহীত

ASTROLOGY(Akhya Tithi )
বৈশাখ শুক্লা তৃতীয়াকে কেন 'অক্ষয় তৃতীয়া' বলা হয়, কারণটা কি জানেন?

ভবিষ্য পুরাণ ছাড়াও বিষ্ণু ধর্মসূত্র, মৎস্য পুরাণ, নারদীয় পুরাণ এবং ভবিষ্য পুরাণেও এই উৎসবের বিশদ উল্লেখ রয়েছে এবং এই উপবাসের অনেক কাহিনী রয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ায়, একজন ব্যক্তি স্নান, দান, জপ, তপস্যা, হবন প্রভৃতি কর্মের শুভ ও চিরন্তন ফল লাভ করে।


Why Baishakh Shukla Tritiya is called 'Akshaya Tritiya do you know the reason



বৈশাখ শুক্লা তৃতীয়ায় অর্থাৎ ৩ মে ২০২২ তারিখে, সারা ভারতে অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব উদযাপিত হবে। এই উৎসব বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতুর উৎসব। বলা হয়েছে এ উৎসবের গুরুত্ব। ভবিষ্য পুরাণ অনুসারে, এই দিনে সম্পাদিত সমস্ত কর্মের ফল নবায়নযোগ্য হয়, তাই এর নাম 'অক্ষয়'। ভবিষ্য পুরাণ ছাড়াও বিষ্ণু ধর্মসূত্র, মৎস্য পুরাণ, নারদীয় পুরাণ এবং ভবিষ্য পুরাণেও এই উৎসবের বিশদ উল্লেখ রয়েছে এবং এই উপবাসের অনেক কাহিনী রয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ায়, একজন ব্যক্তি স্নান, দান, জপ, তপস্যা, হবন প্রভৃতি কর্মের শুভ ও চিরন্তন ফল লাভ করে।
অক্ষয় তৃতীয়ায় এই জিনিসগুলি দান করুন
'স্নাত্ত্বা হুত্বা চ দত্ত্বা চ জপত্ওয়ানন্তফলম্ লভেত্।'
শাস্ত্র মতে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসবে জলভর্তি কলস, পাখা, পাখা, জুতা, ছাতা, গরু, জমি, সোনার ঘট ইত্যাদি দান করা পুণ্যের কাজ বলে বিবেচিত হয়। এই দানের পিছনে লোকবিশ্বাস হল যে এই দিনে দান করা সমস্ত জিনিস গ্রীষ্মকালে স্বর্গে প্রাপ্ত হবে। এই উপবাসে কলস, কুলহাদ, সাকোড়া ইত্যাদি রেখে পূজা করা হয়।

সংগৃহীত



হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অক্ষয় তৃতীয়া খুবই শুভ দিন। পঞ্জিকা মতে, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপিত হয়। ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২২ সালে অক্ষয় তৃতীয়া পড়েছে ৩ মে, মঙ্গলবার। যেহেতু অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটিকে শুভ দিন হিসেবে মানা হয়, তাই এই দিনটিতে অনেকেই নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করেন। ব্যবসার কাজ, জমি বা বাড়ি কেনা, যানবাহন, গহনা কেনা এবং বিবাহের মতো শুভ কাজও সম্পন্ন হয়ে থাকে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। এই বিশেষ দিনে সোনা কেনা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, অক্ষয় তৃতীয়ায় করা যেকোনও কাজ অক্ষয় হয়ে থাকে।



আজ এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে এমন একটি মন্ত্রের কথা বলব, যার জপ করলে আপনার ভাগ্য ফিরতে পারে! এছাড়াও, কিছু মন্ত্র রয়েছে যা আপনার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, অক্ষয় তৃতীয়ার বিশেষ মন্ত্রগুলি সম্পর্কে।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খুব সকালে উঠুন। স্নান সেরে একটি তামার পাত্রে বিশুদ্ধ জল নিন। এবার পূর্ব দিকে মুখ করে ভগবান সূর্যকে জল অর্পণ করুন এবং এই মন্ত্রটি জপ করুন- ওঁ ভাস্করায় বিগ্রহে মহাতেজায় ধীমহি, তন্নো সূর্যঃ প্রচোদয়াৎ।
অক্ষয় তৃতীয়ার পরে প্রতিদিন এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। আপনার জীবনে সুখ আসবে! বিশ্বাস করা হয় যে, যদি এই উপায় সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টার মধ্যে সাত বার করা হয়, তবে আরও শীঘ্র ফল পাওয়া যায়।



অক্ষয় তৃতীয়া পুজোর নিয়ম
১) পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়াতে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিষ্ণু-লক্ষ্মী অথবা কুবেরের পুজো করতে পারেন।

সংগৃহীত
Astro Research Centre
Lob Mukherjee Govt.Enrolled &Enlisted Astrologer Founder of Astro Research Centre ph 8906959633 /9593165251 Email --lobmukherjeejsmarc@gmail .com Add--Rampurhat .Harisava para.Birbhum please like and share my page --Astro Research Centre contact My website- arcsm.in

Please visit here

For Registration check in here.

All kind of Gems Stone are Testing here

All Kind of Certified Gems and Stone available here

পাইকারী ও খুচরা মূল্যে সকল প্রকার রত্ন পাওয়া যায়

রত্ন ব্যবসায়ীরা ও জ্যোতিষ বন্ধুরা যোগাযোগ করুন



Blog Url:
https://arcsm.in/blog.php?blog=20220503142300